মানবদেহে ৩৬০ টি জয়েন্ট আছে। এ জয়েন্ট এর ল্যাটিন শব্দ আথ্র (Arth)আইটিস (itis) প্রদাহ। অর্থাৎ আথ্রাইটিস মানে জয়েন্ট প্রদাহ।
জয়েন্ট প্রদাহ বা আথ্রাইটিস কেন হয় সেটি বুঝতে হবে। আথ্রাইটিস প্রায় ১০০ ধরনের হতে পারে। যদিও এটি জয়েন্টের সমস্যা বুঝায় কিন্তু অন্য যে কোন অঙ্গেও আথ্রাইটিস হতে পারে সেটিও বুঝার চেষ্টা করব।
প্রধানত ৩ ধরনের আথ্রাইটিস নিয়েই বেশীর ভাগ রোগীরা মেডিকেল ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
অস্টিওআথ্রাইটিস:
এটিতেই বেশীর ভাগ বয়স্ক মানুষ আক্রান্ত হন। বিশেষ করে হাতে পায়ের আঙ্গুল, হাঁটু ও মেরুদন্ডের জয়েন্টে প্রদাহ হয়। দেহের এ জয়েন্ট গুলো দুটো হাড়ের সংযোগ স্থল। দুটি হাড়কে (কার্টিলেজ ও লিগামেন্ট ও টেনডন) দ্বারা সংযুক্ত করে। কার্টিলেজ, লিগামেন্ট ও টেনডন হচ্ছে এক ধরনের টিস্যু যা হাড়ের চেয়ে নরম এবং রাবারের মত কাজ করে। দুটি হাড়ের সংযোগস্থল কার্টিলেজ দ্বারা বেষ্টিত থাকে এবং ফাঁকাস্থানে জেলীর মত তরল জলে পূর্ন থাকে (সায়ানোভায়াল ফ্লুইড)। এ এটি একটি গ্লু যা প্রোটিন ও গ্লুকোজ এর (হাইয়ালুরোনিক এসিড) মিশ্রন। এ গ্লু এবং কার্টিলেজ মূলত দুটি হাড়ের ঘর্ষন থেকে রক্ষা করে। দেহ জয়েন্টে ১৫ গ্রামের মত গ্লু আছে। প্রতিদিন ৫ গ্রাম গ্লু ধ্বংশ হয় ও তৈরি হয়। এ গ্লু কার্টিলেজ থেকেই তৈরি হয়। অস্টিওআথ্রাইটিস মুলত কার্টিলেজ এর ড্যামেজ। অধিকাংশ আথ্রাইটিস রোগের কারন এটি। লিগামেন্ট টিস্যু হাড়ের সাথে হাড়ের এবং টেনডন টিস্যু হাড়ের সাথে পেশীকে আটকিয়ে জয়েন্টকে শক্তিশালী রাখে। কার্টিলেজ ড্যামেজের কারনে গ্লু তৈরি হয় না ফলে জয়েন্টে হাড়ে হাড়ে ঘর্ষন হয়, সেখানে প্রদাহ হয়, ফুলে যায় এবং জয়েন্ট শক্ত হয়ে হাড়ের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যায় এবং মাঝারি থেকে মারাত্মক ব্যাথা তৈরি হয়।
গাউট বা বাত: গাউট এক প্রকার আথ্রাইটিস যেটির কারন দেহ বর্জ অতিরিক্ত ইউরিক এসিড জয়েন্টে জমা হওয়া। দেহে ইউরিক এসিড তৈরি হয় পিউরিন বিপাকের ফলে। দেহে প্রাকৃতিক ভাবে পিউরিন তৈরি হয় দেহ কোষের ডিএনএ ও আরএনএ ভাঙ্গার ফলে। এছাড়া বিভিন্ন খাদ্য থেকেও দেহে অতিরিক্ত পিউরিন যুক্ত হয়। এ বর্জ কিডনি দিয়ে বের হয়। অতিরিক্ত ইউরিক এসিড প্রথমে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের জয়েন্টে জমা হয়। ধীরে ধীরে দেহের অন্যান্য জয়েন্ট ও আক্রান্ত হয়। জয়েন্ট ফুলে লাল হয়ে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যাথা হয়। দীর্ঘ প্রদাহের কারনে জয়েন্ট ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে।
রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস :
এটির কারন অটোইমিউন ডিজিজ। অটোইমিউন বিষয়টা বুঝতে হলে ইমিউনিটি কি বুঝতে হবে। ইমিউনিটি নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করছি। ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেহের একটি সিসটেম যা বিষেশায়িত কোষের সমন্বয়ে তৈরি হয়। এ বিষেশায়িত কোষগুলো হচ্ছে নিউট্রোফিল,ইয়োসিনোফিল,
ব্যাসোফিল,ম্যাক্রোফ্যাজ,মাস্টসেল, ডেনড্রাইট সেল,ন্যাচারাল কিলার সেল,কাফলার সেল,বি-সেল, টি-সেল সহ আরও অনেক সেল। এ ছাড়া কমপ্লিমেন্ট (
লিভার কোষে তৈরি গ্রুপ অব প্রোটিন) দেহের ইমিউন সিসটেমের সাথে সম্পৃক্ত। দেহের চর্ম ও মিউকাস ইমিউন সিসটেমের অংশ। সকলের মিলিত অংশ গ্রহনে প্রতি মুহূর্তের জীবানু(ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস,ফাঙ্গাস) কে প্রতিহত করে দেহকে নিরাপদ রাখে। শুধু তাই দেহের টিউমার ও ক্যান্সার কোষেরও বিনাশ করে এ সম্মিলিত ইমিউন সিসটেম। এ ইমিউন সিসটেম এর কারনেই মানুষ প্রতিটি সেকেন্ড বেঁচে থাকে।
ইমিউন সিসটেম ও অটোইমিউন সিসটেম এর বেসিক পার্থক্য হলো; ইমিউন সিসটেম নিজের দেহ কোষকে চিনতে পারে কখনোই আক্রমন করে না শুধু বাইরের জীবানুকে চিনে আক্রমন করে ধ্বংশ করে। অপরদিকে অটোইমিউনিটি হচ্ছে নিজের দেহ কোষকে চিনতে পারেনা এবং শত্রু ভেবে ক্রমাগত আক্রমন করে। এ আক্রমনের ফলে দেহে প্রায় ৮০ ধরনের অটোইমিউন ডিজিজ হয়। এর একটির নাম হচ্ছে রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস। এ রোগের সঠিক কারন জানা যায়নি তবে বংশগত জিন ত্রুটি ও পরিবেশের অজানা এন্টিজেন এর কারনে অটোইমিউন ডিজিজ এর কারন বলে মনে করা হয়।
এ অটোইমিউন ডিজিজ টি দেহের জয়েন্টে ক্রমাগত আক্রমন করে। ফলে জয়েন্টে প্রদাহ হয় এবং কার্টিলেজ ধ্বংশপ্রাপ্ত হয়ে জয়েন্ট স্টিফ হয়ে যায়। চলাচলে অসমর্থ হয় এবং মাঝারী থেকে তীব্র ব্যাথা অনুভুত হয়।
প্রচলিত চিকিৎসা ব্যাবস্থায় বাত ব্যাথার স্থায়ী কোন চিকিৎসা নেই। ক্যালসিয়াম
সেবন আর পেইন কিলার জীবনভর খেতে বলা হয়। যা কিডনী এবং পাকস্থলীর ক্ষতির কারন হয়ে থাকে।
তাহলে উপায় ? হ্যাঁ, উপায়
একটা আছে। সৃষ্টির আদি কাল থেকে ন্যাচারাল আর্য়ুবেদীয় চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে বাত
ব্যাথার স্থায়ী সমাধান হয়ে আসছে। ৫০০০ বৎসরের পুরাতন ন্যাচারাল আর্য়ুবেদীয় চিকিৎসা
পদ্ধতির মাধ্যমে সকল প্রকার বাত ব্যাথার স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব।
ভারতীয় ন্যাচারাল আর্য়ুবেদীয় প্রতিষ্ঠান ওয়েলেক্স
ইন্টারন্যাশনাল বাত ব্যাথার স্থায়ী সমাধান কল্পে উদ্ভাবন করেছে কে-আর্টিস। যা শুধুমাত্র
তিন মাস সেবন করলে যে কোন প্রকার বাত ব্যাথা থেকে আপনি পাবেন স্থায়ী সমাধান। কে-আর্টিস
ডব্লিউ এইচ ও, আই এস ও এবং এফডিএ সার্টিফাইড। বিস্তারিত জানতে গুগল
ও ইউটিউব সার্চ দিন অনেক তথ্য জানতে পারবেন। এই মূল্যবান সাপ্লিমেন্টটি সংগ্রহ করতে
এক্ষুনি ফোন করুন: ০১৫৩১৮৫০২৬৫, ০১৩০১০০২২২১
https://www.youtube.com/watch?v=tl37bYuUbbM